মাসুদ উল হাসান ॥
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্ঠা ও সাবেক আইজিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাইয়ুমের আগমনে বিএনপির পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের মধ্যে চাঙ্গা ভাব বিরাজ করছে। সোমবার দুপুরে ঢাকা থেকে সড়ক পথে বকশীগঞ্জে আসেন তিনি। জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুমের আগমন উপলক্ষে শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে বিশাল তোরণ নির্মান করা হয়। তার বকশীগঞ্জে আগমনকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরেই প্রস্ততি নিচ্ছিলেন তার সমর্থিক নেতাকর্মীরা। বেলা ১২ টার দিকে জামালপুর হয়ে শেরপুরের কামারেরচর পৌছাঁলে নেতাকর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পরে বিশাল মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে তাকে বকশীগঞ্জে নিয়ে আসা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রউফ তালুকদার। আসার পথে প্রথমে টানাব্রীজ এলাকায় তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান মহিলা দলের নেতাকর্মীরা। পরে নিলাক্ষিয়া চৌরাস্তা মোড়ে পথসভা করেন তিনি। সেখানেও তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে বকশীগঞ্জ পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের বটতলায় এক পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুম। বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাইয়ুম বলেন,দীর্ঘ ১৬ বছর সৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে এসেছি। আমাদের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে বন্দি হয়ে অসহ্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তিনি সুস্থ্য হয়ে আগামীকাল দেশে আগমন করছেন,এজন্য প্রথমে আল্লাহ তায়ালার দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া হচ্ছেন, গণতন্ত্রের প্রতীক,দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক ও শান্তির প্রতীক। ফেসিস্ট সরকার পতন আন্দোলনে এক সাগর রক্ত.দেড় হাজারের অধিক মানুষ জীবন দিয়েছেন ও ২০ হাজারের অধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এই ত্যাগের বিনিময়ে সৈরাচার মুক্ত হয়েছি আমরা। শিক্ষার্থী,কৃষক শ্রমিক জনতাসহ যারা আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। পথসভায় তিনি আরো বলেন,অন্তবর্তীকালীন এই সরকারকে বিএনপিসহ সকল দল সহযোগীতা করছে। আমাদের লক্ষ্য একটাই দ্রুত অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন দিয়ে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। দেশের মানুষ তাদের অধিকারের জন্য অপেক্ষা করছে,গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য অপেক্ষা করছে। তাই দ্রুত নির্বাচন দিন। তিনি আরো বলেন,দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। দলকে কোনভাবেই আওয়ামী দোসরদের হাতে তুলে দেয়া যাবে না। যারা দীর্ঘদিন ছাত্রদল,যুবদল ও বিএনপি করেছে এমন ত্যাগী নেতাকর্মীদের দলে জায়গা দেয়া হয়নি। আমি জানি এর পৈথথ্যে আওয়ামী লীগের কে কলকাঠি নাড়ছে। তাদেরকে শক্ত হাতে প্রতিরোধ করতে হবে। এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,’সাবধান হয়ে যান। প্রশাসনকে কেউ হুমকি দিবেন না। যদি ভালো কাজ করে আমরা তাদের সাথে থাকবো,আর যদি খারাপ কাজ করে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। বকশীগঞ্জ থেকে মাদক জুয়া ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। তার জন্য বকশীগঞ্জের জনগণ প্রশাসনের সঙ্গে আছে এবং থাকবে বলেও জানান তিনি। পথসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্যে রাখেন,উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুর রউফ তালুকদার,উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম, সাবেক যুগ্ন আহবায়ক রকিবুল ইসলাম বাবুল, সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক নুরল ইসলাম বাদশা, সরকারি কে.ইউ কলেজের সাবেক ভিপি হাফিজুর রহমান উজ্জল, পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান ফিরোজ, পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল সাফি লিপন,পৌর বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক শহিদুল্লাহ,উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি কায়ছার আমিন,সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান লাভলু, পৌর যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক সানোয়ার হোসন জজ, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি শিউলী আক্তার শান্তি,উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব গোলাম রব্বানী বানী,উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সরকার রাসেল ও উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব বায়েজিদ আল আমীন প্রমূখ।